দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি (কালব) এর ব্যবস্থাপনা কমিটির চতুর্থ মেয়াদের চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যবস্থাপনা কমিটি থেকে সাত জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন গত জুলাই মাসে। সমবায় আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী বোর্ডের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য পদত্যাগ করলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে বোর্ড ভেঙ্গে যায়। তখন সমবায় অধিদপ্তর অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেয়। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি ১২০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজনের ব্যবস্থা করে।
সমবায় আইন ও বিধিমালার তোয়াক্কা না করে বহাল তাবিয়ায়ে নিজের কর্মকান্ড চালু রেখেছেন চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরীফিকেশন।
নিজেকে সমবায়ের গডফাদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এহেন কোনো অপকর্ম নেই করেনি আগষ্টিন।
তিনি পাগাড় খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের, প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটার এবং মাউসাইদ খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের, আভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ কমিটি চেয়ারম্যানও বটে! এছাড়া এ তালিকায় আছে স্বজন কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন, যেখানে তিনি উপদেষ্টা।
দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ লি: (কালব) সূত্র থেকে জানা যায়, মূলত স্বেচ্ছাচারিতা, বিদ্যমান সমবায় আইন,বিধিমালা ও কালবের উপ-আইন উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন, ঋণ বিতরনের মত মূল কার্যক্রম বাদ দেয়ার মাধ্যমে খেলাপী বানিয়ে সদস্য ক্রেডিট ইউনিয়নের মৃতবৎ অবস্থাকরণ এবং নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে, পদত্যাগকারি সদস্যরা সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক শরীফুল ইসলামের সাথে দেখা করে পদত্যাগ পত্রের অনুলিপিও প্রদান করেন।
বিদ্যমান আইন উপেক্ষা করে চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল আছে আগষ্টিন পিউরীফিকেশন। যাকে কালবের একটি অংশ অবৈধ হিসেবে দাবি করছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও রাজধানীর ২৭ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাদাত হোসেন চৌধুরী মিন্টুর প্রভাবেই সম্ভব হয়েছে।